মজার স্ট্যাটাস-১
#মজার স্ট্যাটাস-১
বিছানার চাদর ধুয়ে ছাদে নেয়ার সময় বুয়া সিড়ি ভিজিয়ে ফেলেছে। সেই পানিতে আবার স্লিপ খেয়ে সিদ্দিক সিড়ি থেকে পরে গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকে বিরাট গন্ডগোল। সিদ্দিকের কথা হলো, বুয়া অমনোযোগী হয়ে গেছে। তাকে শাসন করতে হবে। সিদ্দিকের কথায় যুক্তি আছে। তা না হলে ভেজা চাদরের পানি পিছলা হবে কেনো? নিশ্চয়ই বুয়া ভালোমত চাদর ধোয়নি। তাই ডিজারজেন্টের ফেনায় সিড়ি পিচ্ছিল হয়ে গেছে। সাধারণ পানি হলে তো স্লিপ খেয়ে পরার কথা না...
এতেও কোনো সমস্যা ছিলো না। লজিকে সিদ্দিকই জিতে যেত। কিন্তু সমস্যা হলো, বুয়াকে নাকি সে ধর্ষণ ও দৈহিক নির্যাতনের হুমকি দিয়েছে। বুয়া "অ্যাটেম্পট টু রেপ" আইনের আওতায় কেস করতে চায়।
এলাকার মাথা বাবুল পাশাকে ডেকে এনেছি। বাসায় বিচার বসাবো। বাবুল পাশা সোফায় বসে আছে। সিদ্দিক আর বুয়া দুইজনকেই ডাইনিং রুমে ডেকে এনে বসালাম। বুয়া ফ্লোরে বসে পরলো। সিদ্দিক বসার জন্য ডাইনিং টেবিলের চেয়ার টানলো। ইদানিং তার হিতাহিত জ্ঞান কমে গেছে। আমি লাথি মেরে চেয়ার ফেলে দিলাম। সিদ্দিক বসতে গিয়ে ফ্লোরে পরে গেলো। তারপর বুয়ার সামনে নিজেকে সামলে নিয়ে ওই অবস্থাতেই বসে রইলো। আমি বিচার শুরু করলাম...
"বুয়া তোমার কি হয়েছে? তুমি পায়তারা করছো কেনো?"
বুয়া বললো, "সিদ্দিক আমারে আজেবাজে কাজ করার কথা বলছে” !
সিদ্দিককে বললাম, "কি ব্যাপার সিদ্দিক? তুমি তো ভীষণ বাড়া বেড়েছো। তুমি কি বলেছো তাকে? সত্যি করে বলো"
সিদ্দিক আমার কথা শুনে আকাশ থেকে পরার ভং ধরলো। নিজেকে সামলে নিয়ে সিদ্দিক বললো, "বুয়া আমার সাথে তর্ক বিতর্ক করে দেখে আমি তাকে বলেছি, 'তোমার হৃদপিন্ড টিপে দেবো বুঝলে?' এই কথা শুনেই বুয়া আমাকে খারাপ ভেবেছে"
বুয়াকে বললাম, সে তো খারাপ কিছু বলেনি। তুমি অযথাই তাকে ভুল বুঝেছ।
এতক্ষণ পর্যন্ত বাবুল পাশা চুপ ছিলো। এবার সে বুয়ার পক্ষ নিয়ে বললো, "সিদ্দিক কিভাবে হৃদপিন্ড টিপবে? হৃদপিন্ড টিপতে হলে তাকে বুয়ার বুক কাটতে হবে। সে কি ডাক্তার? সে তো দারোয়ান। এ কাজ করতে গেলে তার খুনের মামলা হবে। আর যদি সে বুক না কেটেই উপর থেকে হৃদপিন্ড টিপতে চায়, তাহলে তো সেটা নারী নির্যাতনই হবে। তোমার বিবেক কি বলে বন্ধু?"
বাবুলের বুদ্ধির প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ হয়ে গেলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবুল প্যান্টের বেল্ট খুলে সিদ্দিককে শাসন করার জন্য অন্য রুমে নিয়ে গেলো। মিনিটখানেকের মধ্যেই প্যারাসুট তেলের ঘ্রাণ পেলাম। নিশ্চয়ই বাবুল পাশা সিদ্দিককে লাঠিতে তেল মেখে পেটাচ্ছে...
একেই বলে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে....😀😀😀
বিছানার চাদর ধুয়ে ছাদে নেয়ার সময় বুয়া সিড়ি ভিজিয়ে ফেলেছে। সেই পানিতে আবার স্লিপ খেয়ে সিদ্দিক সিড়ি থেকে পরে গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকে বিরাট গন্ডগোল। সিদ্দিকের কথা হলো, বুয়া অমনোযোগী হয়ে গেছে। তাকে শাসন করতে হবে। সিদ্দিকের কথায় যুক্তি আছে। তা না হলে ভেজা চাদরের পানি পিছলা হবে কেনো? নিশ্চয়ই বুয়া ভালোমত চাদর ধোয়নি। তাই ডিজারজেন্টের ফেনায় সিড়ি পিচ্ছিল হয়ে গেছে। সাধারণ পানি হলে তো স্লিপ খেয়ে পরার কথা না...
এতেও কোনো সমস্যা ছিলো না। লজিকে সিদ্দিকই জিতে যেত। কিন্তু সমস্যা হলো, বুয়াকে নাকি সে ধর্ষণ ও দৈহিক নির্যাতনের হুমকি দিয়েছে। বুয়া "অ্যাটেম্পট টু রেপ" আইনের আওতায় কেস করতে চায়।
এলাকার মাথা বাবুল পাশাকে ডেকে এনেছি। বাসায় বিচার বসাবো। বাবুল পাশা সোফায় বসে আছে। সিদ্দিক আর বুয়া দুইজনকেই ডাইনিং রুমে ডেকে এনে বসালাম। বুয়া ফ্লোরে বসে পরলো। সিদ্দিক বসার জন্য ডাইনিং টেবিলের চেয়ার টানলো। ইদানিং তার হিতাহিত জ্ঞান কমে গেছে। আমি লাথি মেরে চেয়ার ফেলে দিলাম। সিদ্দিক বসতে গিয়ে ফ্লোরে পরে গেলো। তারপর বুয়ার সামনে নিজেকে সামলে নিয়ে ওই অবস্থাতেই বসে রইলো। আমি বিচার শুরু করলাম...
"বুয়া তোমার কি হয়েছে? তুমি পায়তারা করছো কেনো?"
বুয়া বললো, "সিদ্দিক আমারে আজেবাজে কাজ করার কথা বলছে” !
সিদ্দিককে বললাম, "কি ব্যাপার সিদ্দিক? তুমি তো ভীষণ বাড়া বেড়েছো। তুমি কি বলেছো তাকে? সত্যি করে বলো"
সিদ্দিক আমার কথা শুনে আকাশ থেকে পরার ভং ধরলো। নিজেকে সামলে নিয়ে সিদ্দিক বললো, "বুয়া আমার সাথে তর্ক বিতর্ক করে দেখে আমি তাকে বলেছি, 'তোমার হৃদপিন্ড টিপে দেবো বুঝলে?' এই কথা শুনেই বুয়া আমাকে খারাপ ভেবেছে"
বুয়াকে বললাম, সে তো খারাপ কিছু বলেনি। তুমি অযথাই তাকে ভুল বুঝেছ।
এতক্ষণ পর্যন্ত বাবুল পাশা চুপ ছিলো। এবার সে বুয়ার পক্ষ নিয়ে বললো, "সিদ্দিক কিভাবে হৃদপিন্ড টিপবে? হৃদপিন্ড টিপতে হলে তাকে বুয়ার বুক কাটতে হবে। সে কি ডাক্তার? সে তো দারোয়ান। এ কাজ করতে গেলে তার খুনের মামলা হবে। আর যদি সে বুক না কেটেই উপর থেকে হৃদপিন্ড টিপতে চায়, তাহলে তো সেটা নারী নির্যাতনই হবে। তোমার বিবেক কি বলে বন্ধু?"
বাবুলের বুদ্ধির প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ হয়ে গেলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবুল প্যান্টের বেল্ট খুলে সিদ্দিককে শাসন করার জন্য অন্য রুমে নিয়ে গেলো। মিনিটখানেকের মধ্যেই প্যারাসুট তেলের ঘ্রাণ পেলাম। নিশ্চয়ই বাবুল পাশা সিদ্দিককে লাঠিতে তেল মেখে পেটাচ্ছে...
একেই বলে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে....😀😀😀
Comments
Post a Comment